সাইটোপ্লাজমঃকোষের প্রোটোপ্লাজমের নিউক্লিয়াসের বাইরে জেলির মতো অর্ধস্বচ্ছ তরল অংশকে সাইটোপ্লাজম বলে।১৮৬২ সালো রুডলফ ভন সর্বপ্রথম সাইটোপ্লাজম শব্দটি ব্যাবহার করেন।
সাইটোপ্লাজমের বৈশিষ্ট্যঃসাইটোপ্লাজম অর্ধতরল, দানাদার, অর্ধস্বচ্ছ, সমধর্মী, কলয়ডাল তরল পদার্থ, জৈব ও অজৈব পদার্থ, পানি, বিভিন্ন এনজাইম ও অ্যাসিড নিয়ে গঠিত। সাইটোপ্লাজমীয় মাতৃকার অপেক্ষাকৃত ঘন, কম দানাদার বহিঃস্থ শক্ত অঞ্চলকে এক্টোপ্লাজম এবং কেন্দ্রস্থ অপেক্ষাকৃত কম ঘন অঞ্চলকে এন্ডোপ্লাজম বলে।সাইটোপ্লাজম এর হালকা স্তরকে টনোপ্লাজম বলে। সাইটোপ্লাজম এর আপেক্ষিক গুরুত্ব পানি অপেক্ষা বেশি।কোষের ভেতরের সমস্ত সজীব অংশ হলো প্রোটোপ্লাজম, অপরদিকে নিউক্লিয়াসের বাইরে অবস্থিত এবং কোষঝিল্লি দিয়ে পরিবেষ্টিত প্রোটোপ্লাজমের অংশই হলো সাইটোপ্লাজম।প্রোটোপ্লাজম কোষঝিল্লি, সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াস নিয়ে গঠিত। সাইটোপ্লাজম মূলত সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণু ও মাতৃকা দিয়ে গঠিত। এতে নিউক্লিয়াস থাকে না।বংশগতির ধারক ও বাহক হলো প্রােটোপ্লাজম কিন্তু সাইটোপ্লাজমের সাথে বংশগতির কোন সম্পর্ক নেই।জীবনের আধার হিসেবে কাজ করে প্রোটোপ্লাজম, আর সাইটোপ্লাজম বিভিন্ন অঙ্গাণুর আধার হিসেবে কাজ করে।
সাইটোপ্লাজমের কাজঃ
*কোষের বিভিন্ন ধরনের অঙ্গাণু ও নির্জীব পদার্থগুলোকে ধারণ করা সাইটোপ্লাজমের প্রধান কাজ।
*বিপাকীয় কার্যাদি পরিচালনা করে এবং রেচন প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন করে।
*কোষের অম্লত্ব ও ক্ষারত্ব নিয়ন্ত্রণ করে।
*আবর্তনের (cyclosis) মাধ্যমে অঙ্গাণুগুলোকে নড়াচড়ায় সহায়তা করে।
*উত্তেজনায় সাঁড়া দিয়ে জীবের বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে।
সাইটোপ্লাজম এর বিপাকীয় ভূমিকাঃসাইটোপ্লাজমে অবস্থিত বিভিন্ন অঙ্গানু যেমনঃ রাইবোজোম,মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম,প্লাস্টিড,লাইসোজোম,গলগিবস্তু ইত্যাদি কোষীয় বিপাক ক্রিয়ায় ভূমিকা রাখে। শ্বসনের প্রথম ধাপ গ্লাইকোলাইসিস সাইটোপ্লাজমে সংঘটিত হয়।
আরও দেখুন...